এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সম্পর্কে:
থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে ১২ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেননি।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সেনারা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয়, কারণ তারা প্রথমে থাইল্যান্ডের আক্রমণের শিকার হয়।
থাই সেনাবাহিনীর দাবি, কম্বোডীয় সেনারা ভারী অস্ত্র দিয়ে প্রথমে গুলি চালায়। এরপর থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালায়।
একই সময়ে থাইল্যান্ডের স্থলবাহিনী কম্বোডিয়ার সীমানা অতিক্রম করে ঢুকে পড়ে, এবং থাই বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ান আর্মির ঘাঁটিতে আঘাত হানে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, “এই সশস্ত্র আগ্রাসনের জবাবে আমাদের সশস্ত্র প্রতিরোধ ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।”
এদিকে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নাগরিকদের দুই দেশই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে ৪০,০০০ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে।
যুদ্ধের পটভূমি:
মূলত সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ১১শ শতাব্দীর প্রাসাত তা মুয়েন থম মন্দির এলাকা, যা দুই দেশের মধ্যে বিতর্কিত।
একদিন আগে (জুলাই ২৩) সীমান্তে এক থাই সেনা ল্যান্ডমাইনে আহত হয়ে পা হারান, যার ফলে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক নেমে আসে তলানিতে।
এর জবাবে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ায় তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয়, আর কম্বোডিয়া তাদের কূটনীতিকদের থাইল্যান্ডে পাঠানো বন্ধ করে দেয় এবং সব থাই কূটনীতিককে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হতাহতদের বেশিরভাগই দেশটির তিনটি প্রদেশের বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, এই সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়ে কম্বোডিয়ার এখনো কিছু জানায়নি।
দুই পক্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে গুলি বিনিময় হয়। দুই পক্ষেরই দাবি যে অপর পক্ষ প্রথমে গুলি চালিয়েছে।
একদিকে থাইল্যান্ড অভিযোগ তোলে কম্বোডিয়া তাদের লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া অভিযোগ করে ব্যাংকক তাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিষয়টা দ্রুত আরও গুরুতর হয়ে ওঠে।